রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট ভয়াবহ। এর ভবিষ্যৎ কী? এটা বলা বড় মুশকিল। তারপর আমি যেটা আঁচ করছি বা আামি বুঝতে পারছি যে, এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে। যে যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর। আমরাই নাকি দায়ী এটা না হওয়ার কারণে। আমরা যদি কথা না বলতাম তাহলে নাকি তারা অনেক আগেই চলে যেতো।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ আপনারা যাওয়ার জন্য এতটুকু ব্যবস্থা করতে পারেননি, যারা নেয়ার ব্যবস্থা করবে তাদের সঙ্গেই তো আন্ডারস্ট্যাডিং করতে পারেননি, আপনারা কোনো আন্তর্জাতিক আবহাওয়া তৈরি করতে পারেননি যে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ মিয়ানমারের উপরে পড়ে তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। উপরন্তু যারা চাপ দেবে তারা সব মিয়ানমারের পক্ষে। এমনকি যে আমেরিকার বিরুদ্ধে এতো কথা বলছিল সেই আমেরিকার একজন কংগ্রেসম্যান বলছেন যে, এখন মিয়ানমারের ভেতরে যে আইন আছে, সেই আইনেই এই অপরাধগুলোর বিচার হওয়া উচিত। কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমরা?’
তিনি বলেন, ‘কথা তো বলছি আমরা তোমাদের পক্ষে। তোমাদের হাত শক্তিশালী করতে চাই যাতে তোমরা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারো। আমরা একথা পরিষ্কার করে বলেছি যে, রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে একটা জাতীয় কনভেনশন ডাকা হোক। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এক করে বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একমত, এটাকে প্রকাশ করা হোক। তাহলে আপনারা বিশ্বে দেনদরবার করে মিয়ানমারকে পরাজিত করতে পারবেন।’
ফখরুল বলেন, ‘না ওটা তাদের (সরকার) ভালো লাগে না। কারণ কখনই তারা জাতীয় ঐক্য বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে একাই তারা সব করতে পারবে, আমি ছাড়া আর কেউ নেই- এটাই তাদের চিন্তা-ভাবনা। এই করে করে তারা ১৯৭৫ সালে বাকশাল করেছে আবার এখন তারা ওই নীতিতে চলে গেছে প্রায়। আমাদের সেটা রুখে দিতে হবে। আমরা এদেশের জনগণ কখনোই গণতন্ত্রবিহীন কোনো অবস্থা মেনে নেবো না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে আবারা ফিরিয়ে আনবো।’
অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী চেয়ারম্যান জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নঈম জাহাঙ্গীর, বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, জহির উদ্দিন স্বপন, পিপলস পার্টির রিটা রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সুলতান আলম মল্লিক, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, শেখ মুজিবুর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর মোস্তফা আখন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।