অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এদিন মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ তা করেননি। আগামী ২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন আদালত।
ডিআইজি মিজানের জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এবং এসআই মাহমুদুল হাসানের জামিন শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার।
আইনজীবী এহসানুল হক আদালতকে জানান, আসামি মিজানুর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কারাগারে আছেন। জামিন পেলে তিনি পালাবেন না। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
তারা বলেন, আসামি অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন ও তথ্য গোপন করেছেন এবং ওই সম্পদ হস্তান্তর ও রূপান্তর করে তিনি মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নাকচের আদেশ দেন।
গত বছর জানুয়ারিতে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি থেকে তাকে সরিয়ে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এর চার মাস পর তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় গত ২ জুলাই ডিআইজি মিজান ও ৪ জুলাই তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকেই তারা কারাগারে আছেন।