ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জারমিন আক্তার জুঁই (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং জামালপুর সদরের বাগেরহাটা গ্রামের জুলহাস হোসেনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ছাত্রী মেছ থেকে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
পুলিশ ও জুঁইয়ের সহপাঠীরা জানায়, ত্রিশাল পৌর শহরের চরপাড়া এলাকায় শেখ মঞ্জিলের দোতলা একটি ছাত্রী নিবাসে থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো জুঁই। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে মেসে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকি পরও দরজা খোলেনি জুঁই। পরে অন্য রুমের মেয়েরা দরজার ফাঁক দিয়ে জুঁইকে জানালার সঙ্গে ঝুলতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ রুমের দরজা ভেঙে জানালার সঙ্গে উড়না পেচানো মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার রুম থেকে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ হাতে লেখা ও স্বাক্ষর করা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।
জুঁইয়ের সহপাঠী শিলা সাদিয়া বলেন, জুঁই তিনটা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে ছিল। পরে কীভাবে কি হয়েছে বুঝতে পারছি না।
ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জানালার সঙ্গে উড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।