সম্প্রতি কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের সমাবেশকে সরকার হুমকি মনে করছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হুমকির কোনো কারণ নেই। তারা এখানে আশ্রিত। ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটাকে কোনো হুমকি মনে করছে না।
সম্প্রতি মিয়ানমারের যে পাঁচজন নাগরিককে সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে তারা গোয়েন্দা সংস্থার কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে ভুলবশত সীমানা অতিক্রম করে। আবার অনেকে গোয়েন্দা তথ্যের জন্য আসে। তারা কেন এসেছেন এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগেই আছে বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তারা অনেক কথা বলে। তারা কী উদ্দেশে বলে তা সবাই জানে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত সভার উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামান, আহমেদ জামাল, সাবেক তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. খুরশীদা বেগম সাঈদ, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা।
শোক দিবসের আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সংসদের আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্তেও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু সবসময় বলতেন যে তারা আমাদের ক্ষমতা ছেড়ে দেবে না। তাই আগরতলা মামলা থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ছাত্রনেতাদের বলেন তোমরা গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। এরপর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর এ স্বধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। সেই ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে; এই ষড়যন্ত্রের শেষ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মনে করেছিলেন মানুষ সব ভুলে যাবে। কিন্তু মৃত বঙ্গবন্ধুকে শক্তিতে পরিণত করেছে। তার কন্যা এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুর দেখনো স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের সব আরাম আয়েশ ত্যাগ করে শুধু সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেছেন। তিনি সব সময় খেটে খাওয়া কৃষক, শ্রমিকের কাছে গেছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ করতে হবে।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু যেখানেই গেছেন, সেখানেই বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কথা শুধু মুখে মুখে বললেই চলবে না। এটি অন্তরে ধারণ করতে হবে। বাস্তবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।