বর্তমান সরকার দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দলের প্রোপাগান্ডা (প্রচারণা) মেশিন হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে আওয়ামী–রসগোল্লা গিলতে বাধ্য করা হয়। এখানে টেলিভিশনের মালিক ও সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের করার কিছুই থাকে না।’
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (এটিসিও) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বাধ্য হয়ে সরকারি ট্যাবলেট গিলতে হচ্ছে। সত্য প্রচার করতে গেলে তাদের পরিণতি হবে আমার দেশ পত্রিকা কিংবা দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি চ্যানেলের মতো।
রিজভী বলেন, স্বাধীন দেশে মানুষ এখন পরাধীন। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে। কারণ, এ দেশের মানুষ গুম-খুন তথা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ে কথা বলতে ভয় পায়, সত্য কথা বললেই মানুষের ওপর নির্যাতন নেমে আসে।
রিজভী বলেন, সত্য প্রচারের জন্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জেল, জুলুম ও গুমের শিকার হতে হয়। সত্য লেখনীর জন্য অনেককে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
বিএনপির নেতা রিজভী বলেন, যদি কেউ সত্য ও স্বাধীন মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করে, তাহলে তার ওপর নেমে আসবে অকথ্য জুলুম। যেমন নেমে এসেছে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কিংবা কলামিস্ট শফিক রেহমানের ওপর। বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে বলেই গণতন্ত্র এখন ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে।
দেশে মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই বলেই মনে করেন রিজভী। তাঁর বক্তব্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে রয়েছে বলেই জনসমাজে গভীর শূন্যতা বিরাজ করছে। সরকারের দমননীতির প্রবল উত্থানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ক্রমাগত দুরমুজ পেটানো হচ্ছে। দেশ এখন চলছে মিডনাইট নির্বাচনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী সরকারের দ্বারা। এরা কোনো স্বাধীনতার ধার ধারে না।