ঢাকা: অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি আবারও পেছানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানির নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নব-নির্মিত দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৪ আগস্ট এ মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি কারা কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ হুইল চেয়ারে করে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেদিন তার পক্ষে আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় শুনানির জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। আদালত তা শেষবারের মতো মঞ্জুর করে ১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন।
এদিকে গত ৩ মার্চ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের চার্জ শুনানি শেষ হয়।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ সালের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।