ভদ্রলোকের খেলা হিসেবেই পরিচিত এবং জনপ্রিয় ক্রিকেট। সারা বিশ্বে কোটি কোটি তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হন ক্রিকেটাররা। কিন্তু ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সারাহ টেলর যা করেছেন, তা নিয়ে রীতিমত হইচই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহে পর পর দু’বার ইনস্টাগ্রামে দুটি নগ্ন ছবি পোস্ট করেছেন সারাহ টেলর। এখন এই ছবিগুলো নিয়েই সমালোচনা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।
যেখানে ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট খেলাটা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়, সেখানে সারাহ টেলর যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটাকে নিশ্চিত কেউ পছন্দ করবে না।
সারাহ টেলরের মানসিক অবসাদে ভোগার অতীত রেকর্ড রয়েছে। সেই অবসাধ আবারও তাকে গ্রাস করে নিয়েছে কি না তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। ২০১৬ সালেই যখন চার্লট এডওয়ার্ডের পরিবর্তে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে তাকে মনোনীত করার চিন্তা চলছিল, তখনই তিনি হঠাৎ করে বিরতি নিয়ে নিলেন ক্রিকেট থেকে।
কিছুদিন আগেও নারী অ্যাশেজের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্রেক নিয়ে নিলেন টেলর। এমনকি ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি।
মূলত ইংল্যান্ডে নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি ম্যাগাজিনের জন্যই নগ্ন পোজ দিয়েছিলেন তিনি। তিনি ইংলিশ নারীদের মধ্যে এই বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, নিজেদের শরীর নিয়ে যেন তারা গর্বিত হয়। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন আগে আবারও ইন্সটাগ্রামে আরও একটি নগ্ন ছবি তুলে পোস্ট করে দেন।
তবে সারাহ টেলর নিজে জানিয়েছেন, শুরুতে নগ্ন ছবি তোলার জন্য অনেকটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন। পরে যখন তাকে বোঝানো হলো, নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার বিষয়ে। তখনই তিনি এমন ছবির জন্য পোজ দিতে রাজি হন। শনিবার যে ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে- তিনি ব্যাট দিয়ে নিজের শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলো ঢেকে রেখেছেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করার পর তুমুল সমালোচনার শিকার হলেন সারাহ টেলর। যদিও ইউকে ওমেন্স হেলথ ম্যাগাজিনকে ট্যাগ করে জানিয়ে দিলেন, এ ছবিটাও তাদের জন্যই তোলা।