তামিম ইকবাল ছুটিতে। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ও পরে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাহলে আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্টে কে হবেন সাদমান ইসলামের ওপেনিং পার্টনার? তা নিয়েই প্রতিদিন শেরে বাংলায় জল্পনা-কল্পনা।

প্র্যাকটিস কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে গুঞ্জন। বলে রাখা ভাল, সীমিত ওভারের ফরম্যাটের ওপেনার লিটন দাস আর সৌম্য সরকার দলে থাকার পরও এ বছর মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শেষ দুই টেস্টে দুই বাঁহাতি তামিম আর সাদমানই ছিলেন উদ্বোধনী জুটিতে।

কাজেই তামিম না থাকায় সাদমানের সঙ্গী হিসেবে নতুন কাউকে নেয়া ছাড়া পথ নেই। এখন দেখার বিষয় হলো তামিমের জায়গায় কি একদম নতুন কাউকে নেয়া হবে? নাকি পুরনোদের কেউ আবার নতুন করে সুযোগ পাবেন?

সেখানে ঘুরে ফিরে তিনটি নাম উঠে আসছে । যার দুটি পুরনো মুখ; ইমরুল কায়েস ও জহুরুল ইসলাম অমি। আর অন্যটি নতুন, সাইফ হাসান।

কিন্তু আজ হঠাৎ শোনা গেল জহুরুল ইসলাম অমির আশা শেষ। কেন কী হয়েছে? সে তো দুদিন ধরে প্র্যাকটিসেই নেই। গতকাল সারা দিনের দীর্ঘ প্র্যাকটিস সেশন ড্রেসিংরুমেই বসে কেটেছে। আর আজ শেরে বাংলায় প্র্যাকটিসেই আসেননি জহুরুল অমি।

শনি, রবি আর আজ- এই নিয়ে তিন দিন ধরে ব্যাটিং, বোলিং প্র্যাকটিস বা স্কিল ট্রেনিং হচ্ছে। নেটে ব্যাটিং-বোলিং আর ফিল্ডিং ও ক্যাচিং অনুশীলন হচ্ছে বেশ। এর মধ্যে অনুশীলনে কখন জহুরুল অমি ব্যাথা পেয়েছেন, সারা দিন প্র্যাকটিস করতে গিয়ে শেরে বাংলায় কাটানো কোন সাংবাদিকই মনে করতে পারছেন না।

তাহলে কি হলো অমির যে আজ ও গতকাল প্র্যাকটিসেই দেখা মেলেনি? নির্বাচকরাও তাৎক্ষণিকভাবে কোন জবাব দিতে পারেননি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর হাবিবুল বাশার ঠিক স্পষ্ট জানাতে পারেননি কেন প্র্যাকটিসে নেই অমি?

আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতে শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে বাসার পথে পা বাড়ানোর আগে জাগো নিউজের সঙ্গে জহুরুল ইসলাম অমির প্র্যাকটিসে না আসার কারণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নান্নু আর বাশার বলেন, আমরা ঠিক জানি না অমির সমস্যাটি আসলে কী? খালি জানি সে আজ প্র্যাকটিসেই আসেনি।

পরে খোঁজা নিয়ে জানা গেল, তার পিঠে ব্যাথা। তাই প্র্যাকটিসে আসেননি। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু টেস্ট। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে আর মাত্র ৯ দিন। এ সময়ের মধ্যে ব্যথা কমে খেলার মত অবস্থায় আসতে পারবেন অমি? জোরালো প্রশ্ন।

বিসিবির প্রধান চিৎিসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী অবশ্য নেতিবাচক কিছু বলেননি। তার ব্যাখ্যা, ‘আসলে জহুরুল অমিকে দলে বিবেচনায় আনা হবে কি-না সেটা একান্তই নির্বাচকদের এখতিয়ার। আমি শুধু তার ইনজুরি নিয়ে কথা বলতে পারি। এটুকু বলা যায়, জহুরুলের এটা নতুন কোন ইনজুরি নয়। অমির একটা ‘ব্যাক পেইন’ আছে। সেটা পুরনো এবং খুব যে গুরুতর বা জটিল- তা নয়।’

‘কয়েক দিন বিশ্রাম নিলে আপনা আপনি কমে যায়। কাজেই এখনই বলতে পারছি না জহুরুল খেলতে পারবেন কি পারবেন না? তবে অতীতে দেখেছি সে দুই থেকে তিন দিন বিশ্রাম নিলে ব্যথা ভাল হয়ে যায়, সে আবার খেলতে পারে।’

তা নয় মানা গেল। দু তিন দিনের বিশ্রামে পিঠের ব্যথা ভাল হয়ে যাবে, কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, যার মাঝে মধ্যেই এমন ব্যাক পেইন দেখা দেয়, সেটা জেনে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট কি তাকে ৫ দিনের টেস্টে বিবেচনায় রাখবেন?

এমনিতেই বারবার ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার জহুরুল। ইনজুরিতে বেশ কয়েকবার জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন ভঙের বেদনায় নীল এ টপঅর্ডার কাম উইকেটকিপার। পর্যাপ্ত মেধা, প্রজ্ঞা আর অধ্যাবসায় আর ফর্মে থাকার থাকার পরও জহুরুল অমি কি এবার আরও একবার ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হবেন?

Leave a Response