আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শহরের পরিবহণ ব্যবস্থায় ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করে আসছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তবে এতদিন এমন পরিকল্পনা ছিলো শুধু পরীক্ষা নিরীক্ষায় সীমাবদ্ধ। এবার এমন পরিকল্পনা বাস্তব হতে চলেছে বলে জানিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান ইহাং। খবর সিএনবিসি’র।
সিএনবিসি তাদের এক খবরে দাবি করেছে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ড্রোন চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ইহাং। এসব ড্রোন হবে চালকবিহীন। আর যদি এমনটা বাস্তবায়ন হয় তবে চীনই হবে এমন পরিবহণ ব্যবস্থা চালুতে প্রথম দেশ।
ইহাং জানায়, যাত্রীবাহী ড্রোন চীনের বড় শহরগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে চালু করবে তারা। আর শুরুতে দেশটির দক্ষিণ অঞ্চলের শহর গোয়াংজুতে তিন থেকে চার রুটে এই আকাশপথে পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করা হবে। কোম্পানিটির সহ প্রতিষ্ঠাতা ডেরিক জিয়াং সিএনবিসি’কে জানান, ২০২০ সাল নাগাদ তারা এ পরিবহণ চালু করতে যাচ্ছে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত কাঠামো তৈরিতে গুয়াংজু প্রদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি ।
চালক ছাড়াই এসব যাত্রীবাহী ড্রোন বাণিজ্যিকভাবে চালু করার পরিকল্পনা অবশ্য ইহাংয়েরই প্রথম নয়। উড়োজাহাজ নির্মাতা বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও বোয়িং উভয়ই গত দুই বছর ধরে এমন সেবা চালু করার জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছে। এছাড়া জার্মান কোম্পানি লিলিয়ামও এমন পরিবহণ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে এ পরিবহণ ব্যবস্থা বাণিজ্যিকভাবে চালু করার প্রথম ঘোষণা দিলো চীনা কোম্পানিটি। বিজ্ঞাপন
এ পরিবহণ ব্যবস্থা বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে ঝুঁকিও আছে বলে জানায় ইহাং। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করাই সবচেয় বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছে তারা। তবে তাদের দাবি, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাইলট প্রকল্প চালু করার আগে বিভিন্ন বৈরী আবহাওয়ায় ২ হাজারেরও বেশি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন পরিচালনা করেছে তারা।
ইহাং ইঙ্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা ডেরিক জিয়াং জানান, ড্রোনে যাত্রী পরিবহণ প্রচলিত এয়ারক্রাফটের চেয়েও নিরাপদ। তার দাবি, পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন থেকে প্রাপ্ত ডাটাগুলো এ প্রযুক্তিকে নিরাপদ প্রমাণ করতে যথেষ্ট।