জার্মান প্রতিবেদক: কামরুল ইসলাম। প্রায় আঠারো বছর আগে ২০০২ সালে অবৈধ মানব পাচারকারীদের সাহায্যে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ এগ্রিকালচার ভিসায় প্রথমে প্রবেশ করে ইউরোপের অন্যতম দেশ ইতালীতে। পরবর্তীতে নিজে ইতালীতে সফলভাবে প্রবেশ করে চাকুরি লাভের পরে লোভী হয়ে ওঠে কামরুল। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মানব পাচারকারীদের সাথে তার শখ্যতা তৈরী হয়।
এক পর্যায়ে কামরুল ইসলাম সিন্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে নিরিহ মানুষে নিয়ে সবে ইউরোপে। সেই সিন্ধান্ত অনুযায়ী কামরুল ইসলাম একে একে প্রায় বিশজনের মত বাংলাদেশী মানুষকে ইউরোপে প্রবেশ করানোর চেস্টা করে। যার বিনিময়ে প্রতিজনের কাছ থেকে নেয় সে পনেরো থেকে বিশ লাখ বাংলাদেশী টাকা। ইউরোপে প্রবেশ করানোর জন্য প্রত্যেক বাংলাদেশীকে কামরুল প্রথমে রাশিয়া পরে ইউক্রেন হয়ে ইতালীতে প্রবেশ করাতো।
এক পর্যায়ে আদম পাচারকারী কামরুল ইসলাম লিবিয়া হয়ে ভুমধ্য সাগর দিয়ে কয়েকজনকে সমূদ্র পথে ইউরোপে প্রবেশ করানোর সময় কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক সময় আদম পাচাকারী কামরুলকে ইতালীর পুলিশ গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাতে থাকলে চতুর কামরুল ইসলাম গোপনে ২০১৪ সালে পাড়ি জমায় ইউরোপের অরেক ধণী দেশ জার্মানীতে।
সেখানেও থেমে নেই কামরুল। জার্মানীতে অবস্থান করার পর পাকিস্তানীদের সহায়তায় বসবাসের বৈধতা নিয়ে নেয় জার্মান শহরে। ধীরেধীরে পুরোনো নেটওয়ার্ক আবার চালু করে কামরুল। জার্মানীতে এসে নতুন ব্যবসা চালু করে সে। ইতালী এবং গ্রীসে থাকা বাংলাদেশীদের জার্মানীতে এনে কাজ এবং থাকার বৈধতাপত্র দেবার কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে নিতে শুরু করে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ইউরো।
বিশেষ করে জাপানী সুসি কোম্পানী এবং ( RAHMER COPANY) রেহমার কোম্পানীর মাধ্যমে (ibis hotel) আইবিআইএস হোটেলে এ লোকের যোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় কামরুল। পরে প্রতি আদমকে চার হাজার ইউরো নিয়ে পার্মান্টে রেসিডেন্স বা পিআরের ব্যবস্থা করে দেবারও আশ্বাস দেয় সে। কামরুলের এই লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিরেয় অনেক হতভাগ্য তরুন কামরুলকে বিশ্বাস করে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার ইউরো দিয়ে মাসের পর মাস একটা কাজ এবং পার্মানেন্ট রেসিডেন্স বা পিআরের আশায় থাকে। সেই তরুন যুবকের কাছ থেকেও কামরুল বাসায় রেখে আদায় করে আরো শতশত ইউরো। কামরুলের প্রতারনার এখানেই শেষ নয়।
কামরুল জার্মানীতে তৈরী করে নিরীহ বাংলাদেশীদের কাছ থেকে টাকা আয়ের একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য আমজাদ আলী ওরফে মিরাজ। মজিবর রহমান সাজ্জাদ এবং মোরশেদ চৌধূরী।
গত ২৫/০৭/২০১৯ সালে রাশিয়া থেকে তিনজন বাংলাদেশী জার্মানীতে প্রবেশ করলে তাদেরও টাকা হাতানোর জন্য কামরুল এই তিনজনের নাম পরিচয় বের করে তাদেরকে নিজের বাসায় স্থান দেয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।
এরইমধ্যে কামরুল তার নিয়ন্ত্রনে থাকা প্রায় অনেককেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে কাজেরও ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেয় বলে জানায় জার্মানীতে থাকা বাংলাদেশীরা। কেউ কাজ করে সেই কাজের টাকার অংশ কামরুল ইসলামকে না দিয়ে তাদেরকে কামরুল নিজ বাসায় জিম্মি করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে জার্মান পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেবার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে অনেকেই। ভাষা বুঝতে না পারা নিরীহ বাংলাদেশীরা ভয়ে কামরুলের কাছে একভাবে জিম্মি হয়ে থাকে বলেও জানাযায়।
ভয়ংকর প্রতারক কামরুল ইসলাম সাধারনত যেসব মোবাইল নাম্বার দিয়ে নিরীহ বাংলাদেশীদের সাথে যোগাযোগ করে তার মধ্যে রয়েছে
+00 49 17622129794
+00 49 15171145990 imo
+00 49 15211013035 whatsapp
খোজ নিয়ে জানাযায় ,প্রতারক কামরুল ইসলাম ধীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশে প্রবেশ করছেনা। কারন কাজ এবং পিআর পাইয়ে দেবার নাম করে যারা কামরুল ইসলামকে হাজার হাজার ইউরো দিয়ে রেখেছিলো তাদের বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের রোষানলে পড়ার ভয়ে কামরুল ইসলাম বাংলাদেশেও প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে বলে জানায় কেউ কেউ। কামরুলের প্রতরনার শিকার ভুক্তভুগিরা অভিযুক্ত কামরুলের প্রতারনা বন্ধে বাংলাদেশী কনস্যূলেট অফিসের দৃস্টি আকর্ষন করে জানায় জীবিকার জন্য ইউরোপে পাড়ি জমিয়েও বাংলাধেশী এক নাগরিকের প্রতারনা শিকার হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে অনেক বাংলাদেশী যুবক। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে কামরুল ইসলামের প্রতারনার প্রতিকার চায় ভুক্তভুগিরা।