স্টাফ রিপোর্টার: নারী উদ্যোক্তা ফারহানা হাকিম পরিবারসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিগত ৭ ই অক্টোবর ২০২১ তারিখে তাকে সাম্প্রতিক হুমকি প্রদানের ঘটনা উল্লেখ করে রাজধানীর রূপনগর থানায় জিডি নম্বর ২৯৮ নথিভুক্ত হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে হুমকি দেয়া শুরু হলেও এখনো মেলেনি কোন প্রতিকার। থানা পুলিশ কেউই কোন প্রতিকার করতে পারেনি অজ্ঞাত এ সকল সন্ত্রাসীর। মাঝপথে কিছুটা থেমে থাকলেও সন্ত্রাসীরা ২০১৯ সালে ট্রাক চাপায় মারার চেষ্টা করে ভুক্তভোগী ফারহানা হাকিমকে ।
জানা যায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ফারহানা হাকিমকে সড়কে হত্যার চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। ঠিক সেইদনই এই হত্যা চেষ্টার বিষয় নিয়েও থানায় অভিযোগ করলেও এখনো কোন সুরাহা না হওয়ায় মৃত্যু আতংক নিয়ে চলছে এই উদ্যোক্তা ফারহানা হাকিমের পরিবার।
ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ফারহানা হাকিম পেশায় একজন পাট, চামড়াজাত পন্য, হস্তশিল্প ইত্যাদি রপ্তানীকারক এবং সরবরাহকারী । একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ২০১৩ সাল থেকেই বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিয়ে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানীকারক সমিতির সদস্যও ফারহানা হাকিম। স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর দক্ষিণ প্লাজায় বিশাল আকৃতির নকশী কাথা এবং বিবিধ ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর কাজও করেছেন। রপ্তানি বানিজ্যে মন্দা ভাব থাকায় ২০২০ সাল থেকে সরকারি ইজিপি পোর্টালে নিবন্ধিত হয়ে কিছু সরকারি সরবরাহ কাজ করেছেন পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ তালিকাভুক্ত হয়ে সরবরাহ কাজে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
এছাড়া ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে ০১৮৭৯২৯৭৩৫১ নম্বর থেকে সন্ত্রাসীরা ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ফারহানা হাকিমের স্বামী আতিকুল ইসলামের কাছে। পরে আরো একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে ২৫ হাজার টাকা ১৫ মিনিটের না দিলে পরিবারসহ হত্যার হুমকি দেয়। তিনি ঐ দিনিই উত্তরা থানা পশ্চিম একটি সাধারন ডায়রী করেন।যার নম্বর ১০৪৫। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সেই ফোন নম্বরের সেই ব্যাক্তিদের আর সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পরবর্তীতে আরও একবার ফোনে চাদা চাওয়া হয়। এরপর আর ফোন না এলেও সেই আতংক এখনো তাকে তারা করে।
এর দীর্ঘদিন পর ফারহানা হাকিম ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে উত্তরা এলাকায় রিকসা নিয়ে বান্ধবীর বাসার যাবার সময় পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি পিকআপ ভ্যান পেছন থেকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়।
তিনি ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে মাথা ও মুখে গুরুতর আহত হন। এ সময় পিকআপ ভ্যানের ভেতর থেকে ফারহানা হাকিমকে উদ্দেশ্য করে হুমকির সুরে কিছু বলতে শোনেন ফারহানা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে ফারহানার ব্যাক্তিগত মোবাইলে ফোন করে বড় অংকের টাকা দাবী করে আসছিলো সন্ত্রাসীরা। তা থেকেই তিনি ধারনা করেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা টাকা না পেয়ে শারিরীক ভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যেই তাকে পিকআপ ভ্যান দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনিও একটি জিডি করেন। নারী উদ্যোক্তা ফারহানা হাকিম স্বামী-স্ত্রী বছরের ব্যবধানে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর দ্বারা বারবার হেনস্থা হলেও কোথাও তারা কোন বিচার পাননি। একই সাথে থানা পুলিশ সন্ত্রাসীদের কোন প্রকার আইনের আওতায় আনতে পারেনি। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এই উদ্যোক্তা তার পুরো পরিবার নিয়ে শংকায় দিন পার করছেন। থানা পুলিশের সহায়তা না পেয়ে এখন তাদের দিন কাটছে মৃত্যুভয়ে। দ্রুত পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরে তাদের শংকামুক্ত করবে, এটাই একান্ত প্রত্যাশা। বাংলানিউজ মেইলের প্রতিবেদক ফারহানা হাকিম এর কাছে ঘটনার বিষদ জানতে চাইলে তিনি জানান তার পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা অভিযোগ করেন এই নিয়ে আইনশৃংখরা বাহিনীর কাছে বারবার ধর্না দিয়েও তারা আশানরুপ কোনো ফলাফল পায়নি।
খোজ নিয়ে জানাযায় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জংগি সংগঠন হরকাতুল জেহাদের জংগিরা নারী উদ্যোগতা ফারহানা হাকিম পরিবারকে টার্গেট করে হামলা করার পরিকল্পনা করে, যার কারনে দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকতে হয় ফারহানা হাকিম পরিবারকে,