বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় বিদ্যুৎ খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাহ্যিক নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তার প্রটোকল দ্রুত করা অপরিহার্য। সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
সোমবার (২৩ মে) বিদ্যুৎভবনে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিটি ইন পাওয়ার সেক্টর পলিসি অ্যান্ড অপারেশনাল পারসপেকটিভ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ‘ফান্ডামেন্টাল ফিচারস অব সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ে কুয়েটের প্রফেসর ড. কাজী মো. রকিবুল আলম, ‘স্কোপ, নেসেসিটি অ্যান্ড পলিসি সাইবার সিকিউরিটি ইন পাওয়ার সেক্টর’ বিষয়ে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাওসার আমীর আলী এবং ‘সাইবার সিকিউরিটি ইন পাওয়ার সেক্টর-সাইবার থ্রেট, ডিজাইন, ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড মনিটরিং ডিফেনসিভ জিরো ট্রাস্ট আর্কিস্ট্রাকচার’ বিষয়ে মাইক্রোসফটের প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মুসফিকুর রহমান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিপিএমআই’র রেক্টর মো. মহসিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিস্টেম অটোমেশনের বিভিন্ন ডিভাইসকে অনলাইন কমিউনিকেশনের আওতায় রাখতে হয়। তাই সাইবার হুমকির সম্ভাবনাও বাড়ছে। অপ্রত্যাশিত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের সচেতন ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা হুমকির আগাম সতর্কতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা, সেবা সুরক্ষা, তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা এবং সাইবার সাপ্লাই চেইন ঝুঁকি হ্রাস, সাইবার সিকিউরিটিতে গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানিকভাবে আরও কাজ করতে হবে।’